চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের ‘আর্নেস্ট ওরলান্ডো লরেন্স পুরস্কার’ পাচ্ছেন বাংলাদেশি পদার্থ বিজ্ঞানী মো. জাহিদ হাসান। তিনি বর্তমানে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করছেন। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালির্ফোনিয়ার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৫৯ সাল থেকে প্রতি বছর এ সম্মানজনক পুরস্কার দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয় (ডিওই) অর্থনীতি ও জ্বালানি নিরাপত্তা গবেষণায় অবদান রাখার জন্য পেশাজীবী বিজ্ঞানীদের এ সম্মাননা দিয়ে থাকে।
মঙ্গলবার মার্কিন জ্বালানি মন্ত্রী ড্যান ব্রোইল্লেতে এ বছরের পুরস্কারের জন্য অধ্যাপক হাসানের সঙ্গে আরো সাত বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করেন। পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয়ে অধ্যাপক হাসান বলেন, ‘আমার সায়েন্টিফিক হিরোদের একজন আর্নেস্ট ওরলান্ডো লরেন্সের নামে পুরস্কারটি পেতে যাচ্ছি। এ খবর শুনে আমি সম্মানিত ও বিনীত অনুভব করছি।
তিনি বলেন, লরেন্সের সাইক্লোট্রনের উদ্ভাবন আধুনিক উচ্চ-শক্তি অ্যাকসেলেটর প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। কোয়ান্টাম পদার্থের টপোলজিকাল অবস্থাগুলো অনুসন্ধান করতে যাকে আমি আমার গবেষণায় ব্যবহার করেছি।
বিখ্যাত মার্কিন বিজ্ঞানী আর্নেস্ট ওরলান্ডো লরেন্সের সম্মানে ১৯৫৯ সালে পুরস্কারটি চালু হয়। সাইক্লোট্রন নামে ত্বরণ কনা আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯৩৯ সালে নোবেল জিতেছিলেন।
পুরস্কার বিজয়ী প্রত্যেক বিজ্ঞানীকে দেয়া হয় একটি গোল্ড মেডেল এবং ২০ হাজার ডলারের সম্মানি। গোল্ড মেডেলে বিজ্ঞানী লরেন্সের ছবির ছাপ থাকে।
বাংলাদেশি বিজ্ঞানী জাহিদ হাসান ঢাকাতে জন্মগ্রহণ করেন। ধানমন্ডি সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে এসএসসিতে সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় ও ১৯৮৮ সালে এইচএসসিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
পরে উচ্চশিক্ষার জন্য অস্টিনে চলে যান। সেখানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন ভাইনভার্গের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ নিতে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। প্রতিষ্ঠানটির পদার্থবিজ্ঞান থেকে স্নাতক শেষে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেন।
পিএইচডি করার সময় জাহিদ বের করেন কঠিন বস্তুর মধ্যে ইলেকট্রনের চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যা বের করার কৌশল। এই সময় তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর আমন্ত্রণ পান।